অনেকে বলে আমরা মুসলমান আমরা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল না করে, আমরা মসজিদ থেকে পলায়ন করছি? আমাদের তো আল্লাহ তা'আলার কাছে আরও বেশি করে ধোয়া করা দরকার বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য, আরো বেশি মসজিদমুখী হওয়া দরকার।।
দেখেন না... সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব আবেগঘন ভাবে অনেকে পোস্ট করে. চায়নাতে মসজিদগুলো খুলে দেয়া হয়েছে আর মুসলিম দেশগুলোতে মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে.। আর আমরাও ভাবি যে, সত্যি তো মসজিদ থেকে আমাদেরকে পলায়ন করতে আদেশ করা হলো, আমাদেরকে মসজিদে যেতে বারণ করা হলো। অথচ আমাদের তো আরো বেশি বেশি মসজিদে যাওয়া দরকার।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ আনহু একদিন প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছিল, উনি মুয়াজ্জিনকে লক্ষ্য করে বললেন যখন তুমি বলবে , আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ । এরপর তুমি হাইয়া আলাস সালাহ না বলে বলবে, আস সালাতু ফি বুয়ুতিকুম(তোমরা বড়িতে নামাজ আদায় করে নাও) । লোকেরা এটাকে অপছন্দ করলে ইবনু আব্বাস বললেন, তোমাদের চাইতে উত্তম যিনি অর্থাৎ নবী করীম সাঃ, তিনি এরূপ করেছেন এবং একথা বলেছেন।
(বুখারী ও মুসলিম )
(বুখারী ও মুসলিম )
মসজিদে গিয়ে আমার নামাজ আদায় করবো, মসজিদকে সব সময় ভালোবাসবো কিন্তু যখন মসজিদ উন্মুক্ত থাকে তখন মুসল্লি খুঁজে পাওয়া যায় না. আর যখন মহামারী প্রশ্ন আসে তখন আমার মসজিদের প্রশ্ন তুলে আবেগ দেখাই। ওই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোকে বলতে চাই আগে মসজিদমুখী হন, কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন: وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ রুকূ‘কারীদের সঙ্গে রুকূ‘ কর।
রাসূল সাঃ বলেছেন :
যে ব্যক্তি আযান শুনে এবং তার কোনো ওজর না থাকা
সত্ত্বেও জামায়াতে উপস্থিত হলো না. তার সালাত নাই, সালাত নাই, সালাত নাই। কিন্তু কারো যদি ওজর থাকে বা রোগ থাকে বাসায় সালাত আদায় করলেও তার সালাত আদায় হবে।। কিন্তু জামায়াতে নামায আদায় করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।
যে ব্যক্তি আযান শুনে এবং তার কোনো ওজর না থাকা
সত্ত্বেও জামায়াতে উপস্থিত হলো না. তার সালাত নাই, সালাত নাই, সালাত নাই। কিন্তু কারো যদি ওজর থাকে বা রোগ থাকে বাসায় সালাত আদায় করলেও তার সালাত আদায় হবে।। কিন্তু জামায়াতে নামায আদায় করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।
রাসূল সাঃ বলেছেন :
কোথাও মহামারী ছড়িয়ে পড়লে সেখানে যেও না । আর সেখানে অবস্থান করলে সেখান থেকে বের হয়ো না।।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী)
কোথাও মহামারী ছড়িয়ে পড়লে সেখানে যেও না । আর সেখানে অবস্থান করলে সেখান থেকে বের হয়ো না।।
(বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী)
রাসূল সাঃ আরো বলেন :
তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এরকম ভাইরাস বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সে যেন কোন সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত না করে ।।
আমর ইবনে সরাইদ রাঃ বর্ণনা করেছেন তার বাবা থেকে এবং তার বাবা তার দাদা থেকে, যে বনু সাকিব গোএের একদল লোক রাসূল সাঃ এর নিকট বায়াত করার জন্য এসেছিলেন। এরমধ্যে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলো রাসূল সাঃ তাকে বললেন তুমি তোমার অঞ্চলে ফিরে যাও আমার তোমার বায়াত নিয়ে নিলাম। অর্থাৎ তার হাতে হাত লাগিয়ে বায়াত করেননি, তাকে কারো সাথে মিশতে দেননি তাকে পাঠিয়ে দিলেন।।
(বুখারী)
তোমাদের মধ্যে কেউ যদি এরকম ভাইরাস বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সে যেন কোন সুস্থ ব্যক্তিকে আক্রান্ত না করে ।।
আমর ইবনে সরাইদ রাঃ বর্ণনা করেছেন তার বাবা থেকে এবং তার বাবা তার দাদা থেকে, যে বনু সাকিব গোএের একদল লোক রাসূল সাঃ এর নিকট বায়াত করার জন্য এসেছিলেন। এরমধ্যে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলো রাসূল সাঃ তাকে বললেন তুমি তোমার অঞ্চলে ফিরে যাও আমার তোমার বায়াত নিয়ে নিলাম। অর্থাৎ তার হাতে হাত লাগিয়ে বায়াত করেননি, তাকে কারো সাথে মিশতে দেননি তাকে পাঠিয়ে দিলেন।।
(বুখারী)
ওমর ইবনে খাত্তাব রাঃ এর যুগে একজন নারী বাইতুল্লাহ তাওয়াফ করতে এসেছিলেন তিনি কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত থাকার কারনে ওমর রাঃ তাকে বললেন তুমি ঘরে ফিরে যাও অতএব তিনি ঘরে ফিরে গেলেন। ওমর রাঃ এর মৃত্যু পর্যন্ত ঘর থেকে বের হননি. একজন লোক এসে মহিলাকে বলল ওমর রাঃ ইন্তেকাল করেছেন তিনি আপনাকে নিষিদ্ধ করেছেন এখন তিনি ইন্তেকাল করেছেন আপনি এখন বের হতে পারেন। মহিলাটি বলেন জীবন থাকতে যার আদেশ অমান্য করিনি, মৃত্যুর পর তার আদেশ কিভাবে লংঘন করব।।।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: নিজের ক্ষতি করা যাবে না। অন্যের ও ক্ষতি করা যাবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন: আর তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।
(আল-কোরআন)
(আল-কোরআন)
এর দ্বারা বুঝা যায় ভাইরাস বা সংক্রামক জাতীয় রোগ। এই জাতীয় কোন ঘটনা ঘটলে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকা দরকার।।
।
।
।
।
অবশেষে আমার প্রশ্নঃ
এখন পৃথিবীতে করনা ভাইরাসের মত এত ভয়ঙ্কর ডেঞ্জারাস একটি ভাইরাস এর কারনে কি এই বিধান
হতে পারে না???
।
।
।
।
অবশেষে আমার প্রশ্নঃ
এখন পৃথিবীতে করনা ভাইরাসের মত এত ভয়ঙ্কর ডেঞ্জারাস একটি ভাইরাস এর কারনে কি এই বিধান
হতে পারে না???
No comments:
Post a Comment