ওরা আমায় বুঝলো না মা
জীবনের দাম দিতে জানলোনা মা
তোমার কোলে জড়িয়ে গিয়েশেষ কথাটি বলতে দিল না ॥
না এইটা কোনো গান বা সোগ্লান না এটা, আজ সিরিয়ার মুসলিম শিশুদের আর্তচিৎকার, সিরিয়ার বাগানে ফুল ফুটার আগে ঝরে যাওয়ার শিশুদের চিৎকার. এইটা সেই পিতার চিৎকার যে পিতা সন্তানকে বুকে নিয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে, হে আল্লাহ আমাদের সাহ্যায কর এই জালেমের অতাচার থেকে, আমাদের রক্ষা কর আল্লাহ রক্ষা কর... রক্ষা কর.......
আজ কথায় গেল সেই সমস্ত মেডিয়া, সাংবাদিক, টিভি চেনেল, পএ-পএিকা, কোথায় সেই সমস্ত নাম ধারি আলেম গুষ্ঠি যারা বড় বড় কথা বলে লেকচার দেয় ইসলামের পক্ষে মানবতার পক্ষে. তারা কি দেখেনা আজ সিরিয়ার ভাইদের, যারা মৃত সন্তানকে বুকে জড়িয়ে কাঁদছে. আজ কেন তারা নিঃশ্চুপ কেন তারা কোনো কথা বলতেছে না. কোনো নিন্দা-প্রতিবাদ করতেছে না মুসলিম বিশ্ব গুলো
অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন :
”তোমরা তাদের সাথে লড়াই (যুদ্ধ) কর, যে পর্যন্ত না ফেতনার অবসান হয় এবং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হয়।” (সূরা বাকারা)
আজ বিনা কারণে সিরিয়ার মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে এইটা কি ফেতনা না, এইটা কি মানবাধিকার লঙ্গন না, এইটা কি আল্লাহর দ্বীনকে অবসান করার পায়তারা করছে না কাফের মুশরিকরা . তার পরও মুসলমান নিঃশ্চুপ । ।
আল্লাহ তায়ালা আরেক আয়তে বলেন :
وَمَا لَكُمْ لاَ تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللّهِ
وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاء وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ
يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَـذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا
وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا
আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে, যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী! আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও। (সূরা নিস)
আজ সিরিয়ার মুসলিমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছে সাহায্যকারীর জন্য. ইনশাআল্লাহ সাহায্যকারী আসবে আমাদের মাধ্যামে অথবা অন্য মজাহিদের মাধ্যমে যারা সিরিয়ার মুসলিমদের সাহায্য করবে আল্লাহর দ্বীনকে রক্ষা করবে . আছে কি এমন মুজাহিদ ভাই যারা ইসলাম রক্ষা করবে সিরিয়ার মুসলমানকে রক্ষা করবে ..
ইনশাআল্লাহ ....বিজয় ইসলামেরই হবে ?
” আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। “ (সূরা বাকারা)
.!
.!
.!
সিরিয়ার মাঠি থেকে কাফের মুরশিকদের বের করা হবে অথবা সিরিয়ার মাটিতে কাফের মুরশিকদের রক্তে লাল হবে ............. ইনশাআল্লাহ !!!!!
ইনশাআল্লাহ?
ReplyDelete