তাবরেজ আনসারী
নাম ছিলো তাবরেজ আনসারী,
বয়স ছিলো ২৪ বছর। মাত্র তিন বছর বয়সে তার মা মারা যায়, ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারায়। মাত্র ১০ বছর বয়সেই ওয়েল্ডিং এর কাজ করে সংসারের হাল ধরে সে।মাত্র দেড় মাস আগে বিয়ে করে ঘরে নতুন বউ এনেছিল তাবরেজ আনসারি। নতুন বউকে নিয়ে কর্মস্থল পুনেতে যাওয়ার জন্য গত ২৪ তারিখের টিকিটও কেটে রেখেছিল। কিন্তু সে যাওয়া আর হলনা...
তাবরেজ আনসারির বাড়ি বিজেপি শাসিত ঝাড়খন্ডে যেখানে গত চার বছরে শতশত মুসলিমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তাবরেজ আনসারি...
তার নাম জানার পর মুসলিম হওয়ার কারনে টানা ১৮ ঘণ্টা পেটানো হয়েছে তাকে। জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান বলতে বাধ্য করা হয়েছে। ১৮ ঘণ্টা পেটানোর পর অজ্ঞান হয়ে গেলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। মারাত্নকভাবে আহত হওয়ার পরেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে চারদিন পর তার মৃত্যু হয়। বিজেপি, পুলিশ রাষ্ট্র মিলে তাকে হত্যা করেছে।
তার নাম জানার পর মুসলিম হওয়ার কারনে টানা ১৮ ঘণ্টা পেটানো হয়েছে তাকে। জয় শ্রীরাম, জয় হনুমান বলতে বাধ্য করা হয়েছে। ১৮ ঘণ্টা পেটানোর পর অজ্ঞান হয়ে গেলে পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করে। মারাত্নকভাবে আহত হওয়ার পরেও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়নি।অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করে চারদিন পর তার মৃত্যু হয়। বিজেপি, পুলিশ রাষ্ট্র মিলে তাকে হত্যা করেছে।
মনে আছে ৮ বছর বয়সী আসিফার কথা? আসিফাকে অপহরন করে একটা মন্দিরে রেখে টানা আট দিন ধরে ধর্ষণ করে বিজেপি ও আরএসএস এর কর্মীরা। নির্যাতনে মারা যাবার পর আসিফার লাশ ফেলে রেখে যায় নরপশুরা। বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে,নির্যাতনে আসিফার নখগুলি কালচে বর্ণ হয়ে গিয়েছিল। তার শরীরে ও আঙ্গুলে অসংখ্য নীল ও লাল দাগ ছিল। এই শিশুটির সারা শরীরেই ছিল হিংস্র কামড়ের দাগ।পশুগুলি তার সারা শরীর পাথর দিয়ে থেথলে দেয়।তার গলার হাড়, পাঁজরের হাড়সহ সারা শরীরের হাড় ও অস্থিমজ্জা ছিল ভাঙ্গা।
আসিফাকে হত্যার আগেও এক পুলিশ অফিসার সবাইকে রিকুয়েস্ট করেছিল, তাকে শেষবারের মত ধর্ষণের সুযোগ দিতে!!
মুসলিম হত্যার ইস্যুতে বিজেপি, উগ্র সাম্প্রদায়ীকরা, পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্র সবসময় একাট্টা।
তাবরেজ,আসিফা উভয়ের ক্ষেত্রেই পুলিশ অপরাধীদের বাঁচাতে আপ্রান চেষ্টা করেছে। এমনকি অপরাধীদের পক্ষে মিছিলও হয়েছে। ইন্ডিয়ান মুসলিমদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে।
কিন্তু এসব ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের ইসলামী দল কিংবা উলামাদের তেমন কোন ভূমিকা চোখে পড়েনা। তারা একটা প্রতিবাদ মিছিলও করেনা। এতবড় দেওবন্দ মাদ্রাসাও মুখে কুলুপ এঁটে থাকে! এবং উলটো ওদের দালালিতে ব্যস্ত হয়ে পারে।
আমাদের স্টেজ কাঁপানো/ ওয়াজের নামে হাসি ঠাট্টা করা লক্ষ লক্ষ বক্তা আছে কিন্তু আসিফার মা-বাবা কিংবা তাবরেজের নববধূর চোখের পানি মুছে দেওয়ার মত একজন মোহাম্মদ বিন কাসিম, সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী নেই ।।
No comments:
Post a Comment